
চট্টগ্রাম সিটির ডিসি হিলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা না দেওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম।
এদিকে গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে ভাঙচুরের পর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আর না করার ঘোষণা দিয়েছিল আয়োজকরা। তাই দর্শনার্থী শূন্য ছিল সিআরবি। নববর্ষের আগে কখনও এমন হতশ্রী অবস্থা ছিল না ডিসি হিলের।
আব্দুল করিম বলেন, ‘আমরা পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তারা জানান ২০-২৫ জনের মতো বিক্ষুব্ধ মানুষ ব্যানার পোস্টার ছিড়তে এসেছিলেন। কিন্তু ছেড়েনি। রাত অবধি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আসেনি। তাই আমরা তাদের জিডি মূলে জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।’
জিডি মূলে কাদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিডি দেখে বলতে হবে।’
থানা থেকে পুলিশেরই আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে থানা পুলিশ। কারণ আটকরা বিএনপির অনুসারী বলে পরিচয় দিয়েছে। তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে রাতে শীর্ষস্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী থানায় ভিড় করেছেন। এ কারণে আটকদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সাধারণত এই ধরণের ভাঙচুর কিংবা সন্দেহজনক আটকের ঘটনায় থানা পুলিশ সিএমপির ৮৮ ধারায় আদালতে আটকৃতদের চালান দিয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। ৮৮ ধারায় কেন চালান হলো না এই বিষয়ে ওসি কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।