
রুশ পতাকাবাহী একটি ট্যাংকারে সাম্প্রতিক হামলার জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতে পারে।
২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ৭৩ বছর বয়সী পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ জাহাজে যে হামলা চালাচ্ছে তা দস্যুতা ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এখন যা করছে সেগুলো দস্যুতা। রাশিয়া প্রথমে ইউক্রেনের বন্দর এবং সেখানে আসা জাহাজে হামলা চালাবে।’
এরপর আরও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পুতিন জানান, যদি এসব হামলা অব্যাহত থাকে, তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোর জাহাজও সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। তার ভাষায়, ‘দ্বিতীয়ত যদি এসব দস্যুতা চলতে থাকে। আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করব, আমি বলছি না আমরা করব, কিন্তু আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করব; যেসব দেশ ইউক্রেনকে সহায়তা করছে তাদের জাহাজের ওপর হামলার চালানোর কথা।’ তিনি আরও যোগ করেন, এসব পদক্ষেপ কার্যকর না হলে ‘সবচেয়ে বড় বিকল্প হলো ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। তখন দস্যুতা করা আর সম্ভব হবে না।’
পুতিন আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব সাম্প্রতিক এসব হামলার লাভক্ষতি বিবেচনা করবে। গত দুই দিনে রাশিয়ার অন্তত তিনটি ট্যাংকারে হামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে এসব রুশ জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মস্কো সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ এবং জের্ড ক্রুসনার। মধ্যরাত অবধি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা চললেও কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইউরি উসাকোভ।
সূত্র: আল জাজিরা