
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও পাইপলাইন গ্যাস আমদানি ধাপে ধাপে বন্ধের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। বুধবার ব্রাসেলস জানায়, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়ান এলএনজি এবং ২০২৭ সালে পাইপলাইন গ্যাস নিষিদ্ধ করা হবে।
খসড়া নিয়মে উল্লেখ রয়েছে—১৭ জুন ২০২৫–এর আগে স্বাক্ষরিত স্বল্পমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি বন্ধ হবে ২৫ এপ্রিল ২০২৬ থেকে, আর পাইপলাইন গ্যাস আমদানি থামবে ১৭ জুন ২০২৬ থেকে। দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি ১ জানুয়ারি ২০২৭ থেকে এবং পাইপলাইন গ্যাস চুক্তি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৭ থেকে নিষিদ্ধ হবে। প্রয়োজন দেখা দিলে সর্বোচ্চ ১ নভেম্বর ২০২৭-এর মধ্যেই পুরো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
তবে জ্বালানি সংকট দেখা দিলে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি সামনে আসার পর ইউরোপের ভেতরেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
অর্থনীতিবিদ মারিও দ্রাঘি সতর্ক করে বলেন, “ইউরোপ এখনো কাঠামোগত জ্বালানি দুর্বলতায় ভুগছে।” তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
রাশিয়ার অভিযোগ, ইউরোপের নতুন নীতিই তাদের নিজস্ব শিল্প ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ইউরোপের জ্বালানি বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাবে।
সূত্র: শাফাক নিউজ