
ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা থেকে ফেরত আনা দেহাবশেষ কোনও জীবিত বা মৃত জিম্মির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকা থেকে হস্তান্তর করা দেহাবশেষ “নমুনা” হিসেবে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরিচয় শনাক্তকরণ জাতীয় ফরেনসিক মেডিসিন কেন্দ্রে সম্পন্ন হয়েছে।
এই হস্তান্তর যৌক্তিকভাবে অক্টোবর মাসে গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির অংশ। যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী ধাপে ধাপে জীবিত জিম্মি এবং মৃতদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, হামাসের মিত্র ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা রেড ক্রসের দলের সঙ্গে মিলিত হয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে এক জিম্মির দেহ অনুসন্ধান করছে। তবে তারা কার দেহ খুঁজছে, তা প্রকাশ করেনি।
ইসরায়েল আশা করছিল পুলিশ কর্মকর্তা রন গিভিলি এবং থাই নাগরিক সুদথিসাক রিন্থালাকের দেহাবশেষ ফেরত পাবার। এই দুইজনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় অপহরণ করা হয়। ওই হামলার জবাবে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়, যা দু’বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধে পরিণত হয়।
জেনেভা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক রেড ক্রস যুদ্ধ শুরু থেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে, যাতে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি এবং মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ হয়।
সূত্র: রয়টার্স