
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারাদেশের মসজিদে বিশেষ দোয়া আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিষয়টি জানানো হয় বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতির মাধ্যমে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতির স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দেশের প্রতিটি মসজিদে জুমা শেষে দোয়া করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুযায়ী প্রার্থনা করার আহ্বানও জানানো হয়।
ঘোষণায় আরো বলা হয়, দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিজেদের অবস্থান থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
বুধবার ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাকালে তার সাজা নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর নিয়মিত মেয়াদ বাড়ানো হলেও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাননি তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান। এ বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন সেখানে থাকার পর ৬ মে দেশে ফেরেন।
ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হতো। সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালের ভর্তি করতে হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষ নেতারা জানিয়ে আসছেন, তিনি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন।