
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ট্যাটাস থেকে স্পষ্ট যে, তারেক রহমানের আসা বা না আসা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ও এতে জড়িত। বাংলাদেশের স্বার্থে, শুধু তার দল বা ব্যক্তিগত কারণ নয়; তার সামান্যতম ঝুঁকিও যেখানে রয়েছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত তার নেওয়া উচিত নয়। দেশের স্বার্থে এমন একটি সময় আসা দরকার যখন তার ওপর কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকবে না। আমরা অবশ্যই সেই আশা করতে পারি এবং সেই পরিস্থিতি নিশ্চিত করা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান একটি দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমরা কেন ধরে নেব যে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত আবেগ, কষ্ট বা দুঃখ দ্বারা পরিচালিত হবে। আমরা কি দেখিনি এই দেশের রাজনীতি কতটা নির্মম যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অকাল বৈধব্য মেনে নিতে হয়েছে, তাকে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে, এক পুত্রকে চিরতরে হারাতে হয়েছে এবং অফিসে তাকে বালুর ট্রাক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এ দেশের রাজনীতি, উপমহাদেশের রাজনীতির মতোই কঠিন এবং কখনোই সহজ বা মসৃণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপমহাদেশের রাজনীতি খুবই রক্তাক্ত। আমরা ইতিহাসে দেখেছি ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, বেনজির ভুট্টোসহ অনেক নেতার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বাংলাদেশেও শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান হত্যার শিকার হয়েছেন। প্রত্যেক ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক করলেও তা অনভিপ্রেত কারণে কাজে লাগেনি। বাংলাদেশে একটি মধ্যপন্থী, গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তারেক রহমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার পরিবারের জন্য যেমন সম্পদ, তিনি দেশেরও সম্পদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিরও একটা অ্যাসেট।’
রুমিন ফারহানা আরও মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনোই সুইজারল্যান্ড, সুইডেন বা নরওয়ের মতো স্থিতিশীল ছিল না। দেশের ইতিহাসে অনেক দুঃসময় ঘটেছে; ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যা, এরশাদ সরকারের দীর্ঘ ১০ বছর শাসন। তবে এমন ললেসনেস অর্থাৎ আইনবিধির সম্পূর্ণ অভাব আগে কখনো দেখা যায়নি।’