
পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হওয়ার পর সরব হয়েছে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গঠন করেছেন আট সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি।
এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন শেহবাজ নিজেই। বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সরদার মুহম্মদ ইউসেফ, রানা সানাউল্লাহ, ড. তারিক ফজল চৌধুরী, পাকিস্তান পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং আজাদ কাশ্মিরের সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার মাসুদ খান। কমিটির আলোচনায় আজাদ কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোরুল হকও যুক্ত থাকবেন।
আজাদ কাশ্মিরে বিক্ষোভ শুরুর আগে থেকেই তিনি রাজধানী ইসলামাবাদের কাশ্মির হাউসে অবস্থান করছেন।
শেহবাজ শরিফ বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্দোলন প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে এই কর্মসূচি অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোভাবেই সরকারি বা জনগণের সম্পদ ধ্বংস করা যাবে না।”
আজাদ কাশ্মিরে আন্দোলনের সূত্রপাত জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, নড়বড়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং রাজনীতিবিদ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের নানা সুবিধা ও বিশেষাধিকারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠন জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
গত চার দিনে মুজাফফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সূত্র: ডন