
দেশের বাজার, পরিবহন ও ব্যবসা খাত এখন একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, শুধু ব্যবসায়ী নয়, আলেম-ওলামারাও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন, যা ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মামুনুল বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত শত্রুতার নয়, বরং বিচারহীনতা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার জঘন্য উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “শত শত মানুষের সামনে একজন মানুষকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো প্রতিরোধ ছিল না। এই ধরনের ঘটনা জাতির জন্য চরম লজ্জাকর।”
নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কারের দাবি জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “আমরা চাই আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন পদ্ধতিতে হোক, যেখানে নিম্নকক্ষে আংশিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থা চালু হয়। এতে করে রাজনীতি থেকে দুর্বৃত্তায়ন কমবে।”
দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অভিযোগ করা হয়, প্রশাসনের একটি অংশের দুর্নীতিপরায়ণতার কারণে চাঁদাবাজ চক্র ও সন্ত্রাসীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সরকার জনগণের জানমাল রক্ষায় ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।
সভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস একসময় নিপীড়নের শিকার ছিলেন, কিন্তু এখন তিনি একটি বৈশ্বিক এজেন্ডার ধারক হয়ে উঠেছেন। তার ঘনিষ্ঠজনরা ইসলামী মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা হেলালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা কুরবান আলী কাসেমীসহ অন্যান্য নেতারা।