
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নির্ধারিত বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে রাজশাহী থেকে সারাদেশের সঙ্গে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বিক্ষোভকারীরা রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার পর।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেওয়া বিশেষ ট্রেনটিকে যাত্রার জন্য ‘অনুপযুক্ত’ দাবি করে ঢাকামুখী যাত্রীরা রাজশাহী রেল স্টেশনে ট্রেন আটকে দেন। একই কারণে রাজশাহী থেকে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা থাকা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনও আটকে রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, বরাদ্দ পাওয়া ট্রেনটি দ্রুত পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত নয় এবং মানের দিক থেকেও হতাশাজনক ছিল। ফলে তারা উন্নত মানের ট্রেন ও বগির দাবিতে রেললাইনে বসে পড়েন এবং সিল্কসিটি ট্রেন আটকে দেন।
পরে আন্দোলনকারী দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদল নির্ধারিত বিশেষ ট্রেনে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে, আরেক দল প্রায় ৩৫ জন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে রওনা হয়। এসময় স্টেশনে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শহিদুল আলম জানান, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় ৫৪৮ আসনের একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেয়, যার ভাড়া ছিল ৪ লাখ ৮৫ টাকা। ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় কিছু যাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ করেন, তবে রেলের অনুমতিপত্র দেখে তারা পরে অবরোধ তুলে নেন। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে বিশেষ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়, এরপর সিল্কসিটি ট্রেনে বাকিদের পাঠানো হয়।