
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক অধ্যাপককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক হলেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. তাজিন আফরোজ শাহ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এনাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মোতাহার হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে অধ্যাপক ডা. তাজিন আফরোজ শাহকে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ ১৯ ডিসেম্বর-২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে অধ্যাপক ডা. তাজিন আফরোজ শাহকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘নিপুন হাজরা’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদীকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়, “একটা অজনপ্রিয় কথা বলতে চাই... শুনতে অনেকেরই খারাপ লাগবে, তাও বলবো... ওসমান হাদির উপর যে হামলা হইছে, এই ঘটনাকে কোন একটা এংগেল থেকেও এক চুল সমর্থন করার, কিংবা এই ঘটনাকে নিয়ে ঠাট্টা মসকরা করার (যেটা দেখলাম কেউ কেউ করতেছেও) কোন অবকাশ নাই, বরং সেটা পুরোপুরি কুরুচিকর।”
পোস্টে আরও বলা হয়, “তবে এই হামলা হাদির উপর না হয়ে দেশের অন্য যে কোন একটা সাধারণ মানুষের উপর হলে কি সবাই এত হায় হায় করতো? আপনি করতেন? করতেন না। সরকার হাদির জন্য যা করতেছে, তার ১০ ভাগের ১ ভাগও কি অন্য কোন সাধারন মানুষ পেতো? তাহলে কি হাদির জীবনের দাম বাংলাদেশের অন্য যে কোন মানুষের জীবনের দাম থেকে বেশি? প্রশ্ন হচ্ছে কেন?”
ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অধ্যাপক ডা. তাজিন আফরোজ শাহ লেখেন, ‘No need to be unnecessarily diplomatic. সে (ওসমান হাদী) একটা ছ্যাচড়া টোকাই ও সন্ত্রাসী ছাড়া কিছুই না। দেশকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনো কাজে লাগেনি, তাই জিরো সিম্প্যাথি ফর হিম, বরং উল্টোটা।’
এর জবাবে নিপুন হাজরা মন্তব্য করেন, ‘আপু, টোকাই হলেও এভাবে মৃত্যু কারো জন্য কাম্য না।’ পরে ডা. তাজিন আফরোজ শাহ আবার লেখেন, ‘নাহ, ওয়েল ডিজার্ভড, ইজিলি গেসে বেশি কষ্ট পায়নি, ধুকে ধুকে মরেনি ৩২ নাম্বার ভাঙ্গার কারিগর, এটাই দুঃখ।’