
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার বিষয়েও সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আশা করা যায়, এতে সফলতা অর্জিত হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পিইডিপি-৪ ও চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম সমাপ্তির কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় চৌধুরী বলেন, “শিক্ষকরা শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারা মূল শিক্ষা প্রদান করেন, অন্যরা শুধুমাত্র সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষকদের অবস্থার উন্নয়নে সরকার সবসময় কাজ করছে।”
শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়েছে, তবে মূল লক্ষ্য ‘শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ভিত্তি গড়ে তোলা’ অনেক সময় কেন্দ্রীয় গুরুত্ব পায়নি। আমরা এখন এ উদ্দেশ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম সেই অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে।”
উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জেলা পর্যায়ে বেশিরভাগ বই পৌঁছে গেছে এবং জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত বিদ্যালয়গুলোর মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন।
এর আগে, দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, এবং বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিকুর রহমান, পরিচালক মো. মিরজুল ইসলাম উকিল, বিভাগীয় উপপরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।