
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে জমা হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশসহ হাসপাতাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হাসপাতালের সামনের সড়কে কাঁটাতারের ব্যারিকেডও বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এমন ভিড় দেখা গেছে।
এসএসএফের নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসারে, হাসপাতালের নিকটবর্তী দুটি মাঠে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের পরীক্ষামূলক অবতরণ এবং উড্ডয়ন কার্যক্রম রয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি না সৃষ্টি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ধামরাই থেকে বিএনপির কর্মী ও মুদি ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলী বলেছেন, “চোখে দেখতে না পেলেও প্রিয় নেত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিজ কানে শোনার জন্য এখানে এসেছি।”
অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে রবিউল ইসলামও হাসপাতালে আসেন। তিনি জানান, এর আগে একবার এসে ছিলেন, আজ আবার নেত্রীর খোঁজ নিতে এসেছেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছেই।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে হাসপাতালে রাখা হয়। তবে গত রোববার ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।