.webp)
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি দিয়ে গত চার মাসে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা হয়েছে। এসব চাল দেশে এসেছে মোট ৬ হাজার ১৮০টি ভারতীয় ট্রাকের মাধ্যমে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হবে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকার থেকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (আর ও) মো. তারেক আজিজ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চাল আমদানি হওয়ায় দেশের বাজারে এ বছর চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হিলি বন্দরের চালের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল পাইকারি দামে ৪৭-৪৮ টাকা এবং শম্পা জাতের চাল ৬১-৬৪ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হিলির খুচরা বাজারে স্বর্ণা-৫ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা এবং শম্পা ৬৬-৬৮ টাকা প্রতি কেজিতে। দেশীয় স্বর্ণা-জাতের নতুন ধানের চাল ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে সম্পূর্ণ আমন ধানের চাল বাজারে আসেনি।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা পলাশ কুমার বসাক বলেন, “ভারত থেকে চাল আমদানির পর থেকে দাম প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা কমেছে। নতুন ধানের চাল বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম আরও কমে যাবে। এতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।”
হিলি বন্দরের অভিজ্ঞ আমদানিকারক ললিত কেশরা জানান, “সরকারের আহ্বানে আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছি। দেশে চালের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়, তাই বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানি করছি। অনেক সময় আমদানি থেকে লোকসান হলেও ভোক্তাদের কাছে দাম স্থিতিশীল রাখা আমাদের লক্ষ্য।”
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরের মাধ্যমে ৬ হাজার ১৮০টি ভারতীয় ট্রাক চাল আমদানি করেছে। এর মধ্যে আতপ চালের পরিমাণ ২ হাজার মেট্রিক টনের কম।
আরও বলা হয়েছে, চাল আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই। তবে ব্যবসায়ীরা দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিয়ে চাল খালাস করতে পারছেন। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি (আইপি) নিয়ে আমদানিকারকরা দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে চাল খালাস করছেন।
তিনি আরও জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হবে। তবে নতুন অনুমতি দিলে আমদানিকারকরা ভারত থেকে পুনরায় চাল আমদানি করতে পারবেন।