
পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ডিসেম্বরের শুরুতেই হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জেলায় শীতের অনুভূতি বেড়ে গেছে। টানা কয়েক দিন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামার পর গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১০-১১ কিলোমিটার। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে দৃশ্যমানতা কম থাকায় সড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। অনেকেই ঘরের আঙিনায় কিংবা রাস্তার ধারে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে এ আগুনই এখন ভরসা।
সদর উপজেলার ফুটকিবাড়ি এলাকার দিনমজুর আনিসুর রহমান বলেন, ভোরে কাজে বের হওয়া খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, আবার ঠান্ডায় হাত-পা জমে আসে। কাজ না করলে চলবে না, কিন্তু এই শীতে সকালটা পার করাই কষ্ট।
বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী বাজারের চা দোকানি মখলেছার রহমান জানান, সকাল থেকেই দোকানে আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কুয়াশার কারণে ক্রেতারাও কম আসে।
রিকশাচালক আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে রাস্তায় লোকজন কম থাকে। ঠান্ডায় রোজগারও কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় প্রতিদিনই শীত বাড়ছে। কয়েকদিন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। মঙ্গলবার নেমে আসে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। আজ তা কিছুটা বেড়ে ১২ ডিগ্রি হয়েছে। গতকালও এই সময়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে ছিলো। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এ রকম তীব্র শীত শুরু হওয়া মানে সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।