Advertisement Image
Advertisement Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয় : রায় স্থগিত

‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ —হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

জলবায়ু মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। লু বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এদিকে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো তা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আমেরিকা আরও কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন বা চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব।

মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশিসহ ৪০ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় ৪০ জন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ প্রবাসীও আছেন। রোববার (১২ মে) মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করে তারা। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারতের ৭, নেপালের ৩, পাকিস্তানি ২ এবং ১ জন চীনা নাগরিক রয়েছে। সবার বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। তারা দেশটির আইনে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১)(সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে। তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, অবৈধদের অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে সেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটি শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকাওয়াচ/টিআর

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। শিক্ষা বোর্ড বলছে, ক্লাস শুরু হবে জুলাইয়ের শেষ দিকে। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন ২৪ লাখ। যা পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ভর্তিতে কোনো সংকট হওয়ার কথা না। এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে সাত লাখের মতো আসন বেশি রয়েছে। এ কারণে ভর্তিতে সংকট না হলেও নাম করা কলেজে আসন সংকট আছে। আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে। জুলাইয়ের শেষদিকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে স্বাভাবিক সূচিতে ফেরার চেষ্টা থাকছে একাদশ শ্রেণির রুটিনে। এবার রাজধানীতে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি মাধ্যমে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্য মেট্রোপলিটন শহরে বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ ও উপজেলা শহরে ২ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তিন দফা আবেদনের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষাবোর্ডের। ভর্তির বিষয়ে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করলে ভর্তি নিয়ে কোনো সংকটে পড়তে হবে না। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
জাতীয়

এসএসসির ফল প্রকাশ আজ

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আজ রোববার (১২ মে)। সকাল ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল এবং ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। রোববার বেলা ১১টার পরে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর ফলাফল শিট ডাউনলোড করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেরwww.educationboardresults.gov.bd Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রির মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। এসএমএসে ফলাফল পেতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজেই শিক্ষার্থীরা ফলাফল পেয়ে যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

জাতীয়

জলবায়ু মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। লু বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এদিকে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো তা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আমেরিকা আরও কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন বা চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব।

এসএসসির ফল প্রকাশ

Advertisement Image
রাজনীতি

ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি: কাদের

ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন৷ ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দিই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। তিনি বলেন, কারা পালায় আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি পালায়, তাদের নেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, দেশে ফেরার সাহস নেই। বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে। এই রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন সফল হয় না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না। বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে? এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটির কারো কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতো না। যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক: ওবায়দুল কাদের

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
সারাদেশ

পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ দুই প্রার্থীর

বালিয়াকান্দির বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ নামে আজাদের এক কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চরদক্ষিণবাড়ি গ্রামে প্রার্থী আজাদের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এহসানুল হাকিম সাধনকে দায়ী করেছেন আবুল কালাম আজাদ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এহসানুল হাকিম। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং এহসানুল হাকিম সাধারণ যুগ্ম সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই। তারা একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিযোগকারী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ জানান, তপশিল ঘোষণার পর থেকেই এহসানুল হাকিম সাধনের লোকেরা প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে চলেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। শুক্রবার রাতে সাধনের লোকজন অতর্কিতে তাঁর বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং সেখানে থাকা তাঁর কর্মীদের মারধর করে। এতে একজন আহত হয়। এহসানুল হাকিম সাধন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সে সময় অভিযোগকারীর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বাচ্চু চেয়ারম্যানের বাড়িতে মিটিং করছিলেন। এ সময় আবুল কালাম আজাদের ছেলের নেতৃত্বে ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল এসে তাঁর সমর্থক আহম্মদ আলীর মাইক্রোবাসে ইট নিক্ষেপ করে। তাঁর কর্মীদের ওপরও হামলা চালায় তারা। বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে থানায় জানিয়েছেন। বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

আমার এলাকার খবর
Advertisement Image
আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশিসহ ৪০ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় ৪০ জন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ প্রবাসীও আছেন। রোববার (১২ মে) মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করে তারা। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারতের ৭, নেপালের ৩, পাকিস্তানি ২ এবং ১ জন চীনা নাগরিক রয়েছে। সবার বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। তারা দেশটির আইনে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১)(সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে। তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, অবৈধদের অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে সেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটি শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকাওয়াচ/টিআর

হজ নিয়ে প্রতারণা, সৌদিতে দুই প্রবাসী গ্রেপ্তার

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার (১৫ মে) ইআরএফ কার্যালয়ে 'সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন,তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আমাদের বলেছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের এই কাজটি শক্ত হাতে করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই একটি অংশ হচ্ছে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে না দেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ৮ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে এতে কি চোরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হয়েছে। এই যে ৭-৮ টা ব্যাংকের মালিক একটা গ্রুপ এদের বিরুদ্ধে কথা বলাও কঠিন। তারা সম্প্রতি আরেকটা ব্যাংক নিয়ে নিছে। তাদের পত্রিকা আছে, টেলিভিশন আছে, অনলাইনও আছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আপনাদের অধিকার আদায়ে আর বসে থাকার সময় নেই। আপনাদের রাস্তায় নামতে হবে। ইআরএফ একটি সম্মানিত সংগঠন। আপনাদের এই আন্দোলনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে আমি আপনাদের সংঙ্গে আছি। আপনাদের এই আন্দোলন আরো বেগবান করুন। সাংবাদিকদের রিপোর্টগুলো সরকারকে সাহায্য করে। তাই এই আন্দোলন আরো জোরেসোরে চালান। দাবি আদায় করেই ছাড়ব। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, গভর্নর স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, উনি বলেছেন আসা যাওয়া করতে থাকো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও এখনো আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক ভাইয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। আগে সাংবাদিকরা যেভাবে সহজে যেকোনো অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন তা এখন পারছেন না। তিনি বলেন, গভর্নর আমাদের বলেছেন দেশ প্রেমিক হওয়ার জন্য। আমরা তো উন্মাদ দেশ প্রেমিক। আমাদের থেকে দেশ প্রেমিক লোক আর দেখছি না। আমাদের সহকর্মীরা বলছেন যে তাদের ফোন ট্র‍্যাকিং করা হচ্ছে। যা খুবই ভয়ানক ব্যাপার। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে হবে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান গভর্নর আসার পর থেকেই সাংবাদিক প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর হতে শুরু করে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন যে আপনারা এলে গভর্নর স্যার আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেন এবং বলতে থাকেন যে ২৫ বছর হলে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দিবেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক প্রবেশে কঠোর হতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরো বলা হয়, অর্থনীতির বর্তমান যে, চড়া মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ তলানীতে নেমে যাওয়া, আর ডলারের বিপরীতে টাকার যে অবমূল্যায়ন হচ্ছে এই অবস্থার পেছনে কিন্তু কোনোভাবেই সাংবাদিকরা দায়ী না। আর ব্যাংকের দাবি সাংবাদিকরা সেনসেটিভ ইনফরমেশন পাবলিক করে দিচ্ছে। আমরা সাংবাদিকরা তো দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কাজ করছি। যেসব দুর্নীতি হচ্ছে সেগুলো আমরা জনসাধারণের মাঝে জানাচ্ছি। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান, আর নাগরিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই দ্রুতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এই ইস্যুটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টারদের জন্য না। এটি সবার জন্য। ব্যাংকে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এটির যদি সফলতা পেয়ে যায় তাহলে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করবে। আর এই হুমকি আমাদের আগামীর ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক। টাকা ছাপিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ানো হচ্ছে। সরকার যদি মনে করে যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সরকার অনেক কিছু আড়াল করে ভালো থাকবেন তাহলে এটা ভুল। বরং সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করে দিলে অর্থনীতি আরো ভালো থাকবে। দুর্নীতিগুলো সামনে আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই সরকারের ভালোর জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই স্বাধীনতাকে কূলষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গভর্নর সাহেবকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে অতিদ্রুত। মুখপাত্রের কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে। যেই সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সেই সংবাদের তো কোন প্রতিবাদ দেখা যায়নি। বরং পরবর্তীতে দেখা গেছে সেসব ব্যাংকের করুণ পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে জনগণ তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন একজন গভর্নরকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে তার তিনি যোগ্য নন। তার যেই দুর্বলতা আছে সেটি ঢাকার জন্যই তিনি সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই গভর্নরের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সূচকেই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়া ডলারের দাম একলাফে সাত টাকা বাড়িয়ে দিলেন কীসের ভিত্তিতে? কিছু পীর আওলিয়া দরবেশের সুবিধা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে আমি ধারণা করি। তারা দরজায় খিল দিয়েছে কিন্তু দরজা বন্ধ করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দরজায় খিল দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বলে মনে করলে ভুল করবে। দুদকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যদি সফল হয়ে তাহলে কেপিআই প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে সেগুলোতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় সফল হবে। আমরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটে অবস্থান নিব। গভর্নরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিব না। আমাদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ব। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই যে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা এটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টার বা অর্থনীতির রিপোর্টারদের সম্মান না, এটি পুরো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক দুর্নীতির ফাইল জমা হয়ে আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে তারা নিজেরাই আমাদের কাছে চলে আসবে। ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে আমাদের যেসব তথ্য দেয়া এখন আর সেগুলো হয় না। ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে। এই যে প্রতিনিয়ত পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে রিপোর্টগুলো হচ্ছে এসব করে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এমন করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ বলেন, সাংবাদিক যদি বাংলাদেশে থাকে তথ্য তাকে দিতেই হবে। যখনি তথ্য দিবে না তখনি লুকোচুরির বিষয় থাকবে আমরা ধরে নেব। গভর্নর তো কিছুদিনের জন্য। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে৷ যুগে যুগে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সাংবাদিকরা কোনো ব্যক্তির জন্য কাজ করে না, তারা পুরো দেশের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি নেব। আমরা প্রয়োজনে প্রেস ক্লাবে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেব। বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ভল্টের সোনা চুরি এসবের খবর যেন জনগণের সামনে না আসে এজন্যই নিষেধাজ্ঞা। অতীতেও আমরা পেরেছি এবারও আমরা পারব। যখন আমরা সকল মত-পথের সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে হয়েছি সেহেতু আমরা পারবই। যে তথ্য নিয়ে জনগণের জন্য সংবাদ করা হয় তা কখনো তথ্য চুরি হতে পারে না। শুধুমাত্র আর্থিক খাতেই কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার যে জায়গা সেটিই সাংবাদিকরা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে আজ এই অবস্থা। গণমাধ্যম একটা চরম সংকটকালে আছে। আমরা কেউ রাজনৈতিক কারণে তা স্বীকার করি আর না করি। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিএফউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজ যে ব্যাংক রিপোর্টাররা সমস্যা পড়েছে এটা আরো সামনে গড়াবে। ধীরে ধীরে সাংবাদিকরা আরো সমস্যার সম্মুখীন হবেন। দলমতের বাইরে এসে পেশাদারিত্বের জায়গায় আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। প্রেস ক্লাবে আমাদের সকল সংগঠন সংঘবদ্ধ হয়ে আগাতে হবে। অতীতেও আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার আদায় করেছি। এই যে শেয়ারবাজার, ডলার বাজারে এসব অপকর্ম করা হয় এগুলো তো সেই কর্মকর্তারাই ঘটান। সাংবাদিকরা শুধু তা লিখে ধরেন।

ডলারের দাম বাড়ায় বাজারে সর্বনাশ ঘটবে

Advertisement Image
খেলাধুলা

বার্নাব্যুতে চিরচেনা কামব্যাক, ফাইনালে রিয়াল 

রিয়াল মাদ্রিদের যেমন কামব্যাকের অনেকগুলো গল্প আছে। তেমনি কামব্যাক নিয়ে আছে মুখে মুখে রটে যাওয়া অনেকগুলো গল্পও। রিয়াল শেষ বাঁশির আগে হারে না। ব্লাঙ্কোসদের বিপক্ষে শুরুতে গোল করো না। বার্নাব্যুতে ২ মিনিট ২ ঘণ্টার সমান ইত্যাদি। বুধবার রাতে সান্তিয়ানো বার্নাব্যুতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদ আবারও তা প্রমাণ করেছে। জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলের সমতা করে ফেরে কার্লো আনচেলত্তির দল। দ্বিতীয় লেগে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোল খেয়ে ঘরের মাঠে ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু ম্যাচের ৮১ মিনিটে বদলি নেমে রিয়ালের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার হোসেলু জোড়া গোল করে মুহূর্তে ম্যাচ বায়ার্নের থেকে ছিনিয়ে নেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই দ্বিতীয় গোল করে দলকে ফাইনালে তুলে নেন। তাকে প্রথম গোলে সহায়তা দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। যদিও গোলটি জার্মানির বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের উপহার দেওয়া। ভিনির জোরের ওপর নেওয়া শট তার সহজে ধরার সুযোগ ছিল। কিন্তু গ্লাভস গলে বেরিয়ে যাওয়া বল হোসেলু পা ছুঁইয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। পরের গোলটি রুডিগারের ক্রসে পা ছুঁইয়ে জালে পাঠান এই সুপার সাব। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image
বিনোদন

মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে জনপ্রিয় শিল্পী প্রবীন

ভারতের তামিল ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় সুরকার প্রবীন কুমার আর নেই। মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ শিল্পী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার প্রবীনের মৃত্যু হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুরকার প্রবীন কুমার। এরপর বুধবার (১ মে) বিকেলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীনের মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ তামিল ইন্ডাস্ট্রি। উদীয়মান এ সঙ্গীত শিল্পীর অকাল প্রয়াণে সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image