মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশিসহ ৪০ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় ৪০ জন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ প্রবাসীও আছেন। রোববার...
‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ —হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। লু বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এদিকে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো তা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আমেরিকা আরও কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন বা চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব।
মালয়েশিয়ায় ৪০ জন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ প্রবাসীও আছেন। রোববার (১২ মে) মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করে তারা। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারতের ৭, নেপালের ৩, পাকিস্তানি ২ এবং ১ জন চীনা নাগরিক রয়েছে। সবার বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। তারা দেশটির আইনে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১)(সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে। তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, অবৈধদের অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে সেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটি শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকাওয়াচ/টিআর
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। শিক্ষা বোর্ড বলছে, ক্লাস শুরু হবে জুলাইয়ের শেষ দিকে। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন ২৪ লাখ। যা পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ভর্তিতে কোনো সংকট হওয়ার কথা না। এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে সাত লাখের মতো আসন বেশি রয়েছে। এ কারণে ভর্তিতে সংকট না হলেও নাম করা কলেজে আসন সংকট আছে। আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে। জুলাইয়ের শেষদিকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে স্বাভাবিক সূচিতে ফেরার চেষ্টা থাকছে একাদশ শ্রেণির রুটিনে। এবার রাজধানীতে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি মাধ্যমে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্য মেট্রোপলিটন শহরে বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ ও উপজেলা শহরে ২ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তিন দফা আবেদনের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষাবোর্ডের। ভর্তির বিষয়ে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করলে ভর্তি নিয়ে কোনো সংকটে পড়তে হবে না। ঢাকাওয়াচ/টিআর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। লু বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এদিকে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো তা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আমেরিকা আরও কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন বা চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব।
ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন৷ ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দিই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। তিনি বলেন, কারা পালায় আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি পালায়, তাদের নেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, দেশে ফেরার সাহস নেই। বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে। এই রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন সফল হয় না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না। বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে? এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটির কারো কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতো না। যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। ঢাকাওয়াচ/টিআর
মালয়েশিয়ায় ৪০ জন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ প্রবাসীও আছেন। রোববার (১২ মে) মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের গেলাং পাতাহ এলাকার ১৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জল শামসুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে বসবাসকারী বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জোহর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোট ২৪৬ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এদের মধ্য থেকে নথিবিহীন ৪০ জনকে আটক করে তারা। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৭, ভারতের ৭, নেপালের ৩, পাকিস্তানি ২ এবং ১ জন চীনা নাগরিক রয়েছে। সবার বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। তারা দেশটির আইনে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য এবং ১৫(১)(সি) ইমিগ্রেশনের ধারায় অপরাধ করেছে। তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, অবৈধদের অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে সেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটি শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ঢাকা: ডলারের দাম ১১০ টাকা ছিল। সাত টাকা বাড়িয়ে করা হলো ১১৭। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন আমদানিকারক ও বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় সব নিত্যপণ্যই আমদানিনির্ভর। ডলারের মূল্য বাড়ার প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। বাংলানিউজকে দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্যে তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ডলারের মূল্য সাত টাকা বাড়ায় বাজারে সর্বনাশ হয়ে যাবে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের মানুষ সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখবে। তিনি বলেন, এখন যে পণ্যটি আমদানি করতে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা, শুধু ডলারের দাম বাড়ার কারণে বাড়তি ৭ টাকা ৭০ পয়সা গুনতে হবে। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচও রয়েছে। বাংলাদেশ একটি আমদানিনির্ভর দেশ। চাল, ডাল, গাড়িসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়। ডলার সাত টাকা বাড়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। আমদানি ব্যয় বাড়লে ভোক্তার কষ্ট বাড়বে। এটা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। মানুষের কষ্ট বাড়বে। ডলারের দাম বৃদ্ধি করা হোক আর যা-ই হোক, মানুষকে দ্রুত স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ফেরত দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। হেলাল আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যাই করছে, দ্রুত যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। দেরি হলে মানুষের কষ্ট বাড়বে, সরকারের জনপ্রিয়তা কমবে। দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা যে সংকটে পড়েছিলাম পরবর্তী সময়ে যে কয়টি দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, বাংলাদেশ তার মধ্যে সামনে সারিতে ছিল। কিন্তু এখন যে সংকটের মধ্যে আছি ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না। আমাদের অনুরোধ, ডলারের দাম বাড়ানো হোক বা যা-ই হোক একটি টাইম ফ্রেম বেধে দিতে হবে, যেন একটি সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের এখন ১১৭ টাকা করেছে, কদিন পর ১২২ টাকা করুক। তবে ছয় মাসের মধ্যে যেন একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির মধ্যে আসতে পারি। ডলারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) জ্যেষ্ঠ গবেষক আশিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপকে সঠিক মনে করছেন। আশিকুল বলেন, আমদানিতে একটি বিনিময় হার, রপ্তানিতে খোলা বাজারে আরেকটি বিনিময় হার। ভিন্ন ভিন্ন বিনিময় হারে একটি দেশের অর্থনীতি চলতে পারে না। বাজারে ডলারের দাম ইতোমধ্যে ১১৭ টাকা চলছে। খাতা-কলমে না থাকলেও বাজারে এটা ঠিকই চলছিল। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার ফলে প্রবাসী আয় আকর্ষিত হবে; পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও দ্রুত দেশে ফেরত আসবে। এর ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ভূমিকা ব্যালেন্স অব পেমেন্টকে সহায়তা করবে। আমরা এমন একটি সমন্বিত রেটের কথা বলছিলাম। আমাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার (৮ মে) এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে ডলারের মূল্য ১১৭ টাকা করার কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকাওয়াচ/টিআর