Advertisement Image
Advertisement Image

১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র গত বছর ভ্রমণ কিংবা কাজের ভিসায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। দেশটিতে প্রাথমিক আশ্রয়ের জন্য তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব আশ্রয়প্রার্থীদের এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির আওতায় এই বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। খবর- দ্য টেলিগ্রাফঅবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে এ নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর আগে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। উভয় দেশ পারস্পরিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতার ব্যাপারে জোরালো অঙ্গীকার করে।এই চুক্তির আওতায় আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘ফাস্ট-ট্রাক’(দ্রুত) পদ্ধতিতে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া যারা অপরাধী ও ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশের পর বাড়তি সময় থাকছেন তাদেরও ফেরত পাঠানো সহজ করবে চুক্তিটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। এতে আরও বলা হয়, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্য দেশের মানুষকে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন করলে সেখানে তার অবস্থান অনির্দিষ্ট হয়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেন যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।এতে আরও বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর আশ্রয় প্রার্থীর শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান, এরপরের অবস্থানে আছে বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তান। গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন দেশের ২৬ হাজার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

৬ জুন বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী ৬ জুন বাজেট পেশ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। শুক্রবার (১৭ মে) রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৬ তারিখে বাজেট দেব। বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তীতে উত্তরণ করতে পারব সে আত্মবিশ্বাস আছে। গ্রামের অর্থনীতি বদলে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতেন না, তারা এখন চারবেলা খান। হাট-বারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতি থেকে ঈদের আগে ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে টানা চারবারের সরকার প্রধান বলেন, অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়, কীভাবে মানুষের উপকার হবে। তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই তিনি এটা শিখেছেন।

জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফল ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন । তিনি বলেন, আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাগ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।

মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, ১১ মুসল্লি নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেয়ায় আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন ১১ মুসল্লি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।বিবিসি বরাত দিয়ে জান যায়, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।বাসিন্দারা জানান, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরেই তাদের জানানো হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, লোকেদের আমাদের কল করার কথা ছিল কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা লোকেশন থেকে কোনও কল পাইনি।’পুলিশ জানায়, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, সে মসজিদের ভেতরে থাকা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটেছে তা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, বরং এটি সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি বর্তমানে আমাদের কাছে আছে এবং দরকারি তথ্য দিচ্ছে।’পুলিশ আরও জানায়, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে।সূত্র: বিবিসি

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
রাজনীতি

আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন : রিজভী

আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝনঝন করে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৬ মে) প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল ও সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির ফরমায়েশি সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদ। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বারবার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা, জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণখেলাপি মানুষ, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোকজন আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু। “যারা বাজার সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করেছে, যারা ব্যাংকের টাকা লুট করে, নিয়মবির্হিভুতভাবে ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অন্য জায়গাজমি দখল করে এদের তো জনগণ পছন্দ করে না। আর এই লোকগুলোই যদি আওয়ামী লীগের পাশে থাকে, প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকে, সরকারের পাশে থাকে তাহলে তো জনগণ থাকবে না। আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝনঝন করে কথা বলছে।” তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়া কান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল সাহেবের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভীরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, এমন আওয়াজ তিনি মাঝে মধ্যে দেন। আরো অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এই কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনকে না দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নিষেধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কিন্তু একজনও কথা শুনেনি। সবাই দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রীরই ২০-২৫ জন আত্মীয়-স্বজন উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন? ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার দল যে শূন্য টিনের বাক্স হয়ে গেছে, সেটা আগে ভরুন, তারপর বিএনপির কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল হয়েছে না সবল আছে এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। আপনার আওয়ামী লীগ ভাঙ্গা কলসি। তাই আপনাদের আওয়াজ বেশি হচ্ছে। হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

জাতীয়

১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র গত বছর ভ্রমণ কিংবা কাজের ভিসায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। দেশটিতে প্রাথমিক আশ্রয়ের জন্য তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব আশ্রয়প্রার্থীদের এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির আওতায় এই বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। খবর- দ্য টেলিগ্রাফঅবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে এ নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর আগে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। উভয় দেশ পারস্পরিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতার ব্যাপারে জোরালো অঙ্গীকার করে।এই চুক্তির আওতায় আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘ফাস্ট-ট্রাক’(দ্রুত) পদ্ধতিতে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া যারা অপরাধী ও ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশের পর বাড়তি সময় থাকছেন তাদেরও ফেরত পাঠানো সহজ করবে চুক্তিটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। এতে আরও বলা হয়, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্য দেশের মানুষকে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন করলে সেখানে তার অবস্থান অনির্দিষ্ট হয়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেন যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।এতে আরও বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর আশ্রয় প্রার্থীর শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান, এরপরের অবস্থানে আছে বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তান। গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন দেশের ২৬ হাজার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

৬ জুন বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী

Advertisement Image
রাজনীতি

ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি: কাদের

ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন৷ ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দিই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। তিনি বলেন, কারা পালায় আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি পালায়, তাদের নেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, দেশে ফেরার সাহস নেই। বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে। এই রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন সফল হয় না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না। বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে? এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটির কারো কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতো না। যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক: ওবায়দুল কাদের

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
সারাদেশ

কারাগারে আটক জঙ্গি নেতা মন্তেজারের মৃত্যু

জয়পুরহাট: কারাগারে থাকা জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মন্তেজার রহমান ২০০৭ সাল থেকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন।আজ বুধবার জয়পুরহাটের জেল সুপার রীতেশ চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মন্তেজার জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন।জয়পুরহাট জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মন্তেজার রহমান রহমান ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে হার্ট-কিডনি-প্রেসারসহ জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি সোমবার কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যার জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কারা তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান। আজ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে ক্ষেতলালের উত্তর মহেশপুর গ্রামে মন্তেজারের বাড়িতে জেএমবির শীর্ষ নেতারা গোপনে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই বাড়িটি ঘেরাও করে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ। এ সময় জেএমবির সদস্যরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল শফিসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করে ৩টি শটগান, ৪৫টি গুলি ও ১টি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে ১৯ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৭০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে অস্ত্র লুট, পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে জখম ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়।ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ আসামি ২০০৪ সালে আদালত থেকে জামিন পায়। এর পর থেকেই তারা পলাতক। ২০০৭ সাল থেকে মন্তেজার রহমান রহমান কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া আসামি শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দিনাজপুর অঞ্চলের পরিদর্শক জালাল উদ্দীন মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ৬০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু হামলার সময় আসামি মন্তেজারের বাড়ির পাশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হলেও বিস্ফোরক আইনে কোনো মামলা করেনি পুলিশ। এ জন্য ২০০৯ সালের ১২ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে সিআইডিকে মামলাটি আবার তদন্তের আদেশ দেন। সিআইডির দিনাজপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শেখ আহসান-উল কবীর অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে ২০১০ সালের ২৫ মে ওই ৬০ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আদালতে পৃথক আরেকটি অভিযোগপত্র দেন। দুটি মামলার চার্জ গঠন ও বিচার কাজ শুরু হয়েছে বলে জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন।

আমার এলাকার খবর
Advertisement Image
আন্তর্জাতিক

মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, ১১ মুসল্লি নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেয়ায় আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন ১১ মুসল্লি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।বিবিসি বরাত দিয়ে জান যায়, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।বাসিন্দারা জানান, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরেই তাদের জানানো হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, লোকেদের আমাদের কল করার কথা ছিল কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা লোকেশন থেকে কোনও কল পাইনি।’পুলিশ জানায়, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, সে মসজিদের ভেতরে থাকা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটেছে তা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, বরং এটি সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি বর্তমানে আমাদের কাছে আছে এবং দরকারি তথ্য দিচ্ছে।’পুলিশ আরও জানায়, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে।সূত্র: বিবিসি

মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশিসহ ৪০ অভিবাসী আটক

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার (১৫ মে) ইআরএফ কার্যালয়ে 'সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন,তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আমাদের বলেছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের এই কাজটি শক্ত হাতে করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই একটি অংশ হচ্ছে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে না দেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ৮ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে এতে কি চোরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হয়েছে। এই যে ৭-৮ টা ব্যাংকের মালিক একটা গ্রুপ এদের বিরুদ্ধে কথা বলাও কঠিন। তারা সম্প্রতি আরেকটা ব্যাংক নিয়ে নিছে। তাদের পত্রিকা আছে, টেলিভিশন আছে, অনলাইনও আছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আপনাদের অধিকার আদায়ে আর বসে থাকার সময় নেই। আপনাদের রাস্তায় নামতে হবে। ইআরএফ একটি সম্মানিত সংগঠন। আপনাদের এই আন্দোলনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে আমি আপনাদের সংঙ্গে আছি। আপনাদের এই আন্দোলন আরো বেগবান করুন। সাংবাদিকদের রিপোর্টগুলো সরকারকে সাহায্য করে। তাই এই আন্দোলন আরো জোরেসোরে চালান। দাবি আদায় করেই ছাড়ব। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, গভর্নর স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, উনি বলেছেন আসা যাওয়া করতে থাকো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও এখনো আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক ভাইয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। আগে সাংবাদিকরা যেভাবে সহজে যেকোনো অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন তা এখন পারছেন না। তিনি বলেন, গভর্নর আমাদের বলেছেন দেশ প্রেমিক হওয়ার জন্য। আমরা তো উন্মাদ দেশ প্রেমিক। আমাদের থেকে দেশ প্রেমিক লোক আর দেখছি না। আমাদের সহকর্মীরা বলছেন যে তাদের ফোন ট্র‍্যাকিং করা হচ্ছে। যা খুবই ভয়ানক ব্যাপার। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে হবে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান গভর্নর আসার পর থেকেই সাংবাদিক প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর হতে শুরু করে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন যে আপনারা এলে গভর্নর স্যার আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেন এবং বলতে থাকেন যে ২৫ বছর হলে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দিবেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক প্রবেশে কঠোর হতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরো বলা হয়, অর্থনীতির বর্তমান যে, চড়া মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ তলানীতে নেমে যাওয়া, আর ডলারের বিপরীতে টাকার যে অবমূল্যায়ন হচ্ছে এই অবস্থার পেছনে কিন্তু কোনোভাবেই সাংবাদিকরা দায়ী না। আর ব্যাংকের দাবি সাংবাদিকরা সেনসেটিভ ইনফরমেশন পাবলিক করে দিচ্ছে। আমরা সাংবাদিকরা তো দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কাজ করছি। যেসব দুর্নীতি হচ্ছে সেগুলো আমরা জনসাধারণের মাঝে জানাচ্ছি। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান, আর নাগরিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই দ্রুতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এই ইস্যুটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টারদের জন্য না। এটি সবার জন্য। ব্যাংকে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এটির যদি সফলতা পেয়ে যায় তাহলে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করবে। আর এই হুমকি আমাদের আগামীর ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক। টাকা ছাপিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ানো হচ্ছে। সরকার যদি মনে করে যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সরকার অনেক কিছু আড়াল করে ভালো থাকবেন তাহলে এটা ভুল। বরং সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করে দিলে অর্থনীতি আরো ভালো থাকবে। দুর্নীতিগুলো সামনে আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই সরকারের ভালোর জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই স্বাধীনতাকে কূলষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গভর্নর সাহেবকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে অতিদ্রুত। মুখপাত্রের কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে। যেই সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সেই সংবাদের তো কোন প্রতিবাদ দেখা যায়নি। বরং পরবর্তীতে দেখা গেছে সেসব ব্যাংকের করুণ পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে জনগণ তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন একজন গভর্নরকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে তার তিনি যোগ্য নন। তার যেই দুর্বলতা আছে সেটি ঢাকার জন্যই তিনি সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই গভর্নরের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সূচকেই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়া ডলারের দাম একলাফে সাত টাকা বাড়িয়ে দিলেন কীসের ভিত্তিতে? কিছু পীর আওলিয়া দরবেশের সুবিধা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে আমি ধারণা করি। তারা দরজায় খিল দিয়েছে কিন্তু দরজা বন্ধ করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দরজায় খিল দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বলে মনে করলে ভুল করবে। দুদকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যদি সফল হয়ে তাহলে কেপিআই প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে সেগুলোতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় সফল হবে। আমরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটে অবস্থান নিব। গভর্নরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিব না। আমাদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ব। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই যে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা এটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টার বা অর্থনীতির রিপোর্টারদের সম্মান না, এটি পুরো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক দুর্নীতির ফাইল জমা হয়ে আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে তারা নিজেরাই আমাদের কাছে চলে আসবে। ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে আমাদের যেসব তথ্য দেয়া এখন আর সেগুলো হয় না। ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে। এই যে প্রতিনিয়ত পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে রিপোর্টগুলো হচ্ছে এসব করে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এমন করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ বলেন, সাংবাদিক যদি বাংলাদেশে থাকে তথ্য তাকে দিতেই হবে। যখনি তথ্য দিবে না তখনি লুকোচুরির বিষয় থাকবে আমরা ধরে নেব। গভর্নর তো কিছুদিনের জন্য। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে৷ যুগে যুগে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সাংবাদিকরা কোনো ব্যক্তির জন্য কাজ করে না, তারা পুরো দেশের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি নেব। আমরা প্রয়োজনে প্রেস ক্লাবে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেব। বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ভল্টের সোনা চুরি এসবের খবর যেন জনগণের সামনে না আসে এজন্যই নিষেধাজ্ঞা। অতীতেও আমরা পেরেছি এবারও আমরা পারব। যখন আমরা সকল মত-পথের সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে হয়েছি সেহেতু আমরা পারবই। যে তথ্য নিয়ে জনগণের জন্য সংবাদ করা হয় তা কখনো তথ্য চুরি হতে পারে না। শুধুমাত্র আর্থিক খাতেই কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার যে জায়গা সেটিই সাংবাদিকরা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে আজ এই অবস্থা। গণমাধ্যম একটা চরম সংকটকালে আছে। আমরা কেউ রাজনৈতিক কারণে তা স্বীকার করি আর না করি। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিএফউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজ যে ব্যাংক রিপোর্টাররা সমস্যা পড়েছে এটা আরো সামনে গড়াবে। ধীরে ধীরে সাংবাদিকরা আরো সমস্যার সম্মুখীন হবেন। দলমতের বাইরে এসে পেশাদারিত্বের জায়গায় আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। প্রেস ক্লাবে আমাদের সকল সংগঠন সংঘবদ্ধ হয়ে আগাতে হবে। অতীতেও আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার আদায় করেছি। এই যে শেয়ারবাজার, ডলার বাজারে এসব অপকর্ম করা হয় এগুলো তো সেই কর্মকর্তারাই ঘটান। সাংবাদিকরা শুধু তা লিখে ধরেন।

ডলারের দাম বাড়ায় বাজারে সর্বনাশ ঘটবে

Advertisement Image
খেলাধুলা

ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ম্যাচেও হারের পর উঁকি দিচ্ছিল হোয়াইটওয়াশ। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিও হারে নারী ক্রিকেট দল। এতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাঁচটিতেই হেরে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল নিগার সুলতানার দল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে টাইগ্রেসরা। তাতে ২১ রানে জয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে সফরকারীরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার শেফালি ভার্মা। ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দায়ালান হেমালাথাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা। ২৫ বলে ৩৩ রান করে স্মৃতি মান্ধানা আউট হলে, হেমালাথাকে সঙ্গ দেন হারমানপ্রীত কৌর। ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন এই ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন হেমালাথাও। শেষ দিকে ৩ বলে ১ রান করে সাজেভান সাজানা আউট হলেও, রিচা ঘোষের ১৭ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া খান এবং নাহিদা আক্তার দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন সুলতানা খাতুন। ভারতের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকে টাইগ্রেস ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানে মধ্যে টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শরিফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিতু মনি। ৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১০৯ রানে ৩৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হন রিতু। আউট হবার আগে ৩৭ রান করেন তিনি। রিতুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রাবেয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শরিফা। তবে তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ২১ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফা। ভারতের পক্ষে রাধা যাদব নেন ৩টি উইকেট। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image
বিনোদন

মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে জনপ্রিয় শিল্পী প্রবীন

ভারতের তামিল ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় সুরকার প্রবীন কুমার আর নেই। মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ শিল্পী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার প্রবীনের মৃত্যু হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুরকার প্রবীন কুমার। এরপর বুধবার (১ মে) বিকেলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীনের মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ তামিল ইন্ডাস্ট্রি। উদীয়মান এ সঙ্গীত শিল্পীর অকাল প্রয়াণে সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image