Advertisement Image
Advertisement Image

ডিবিতে মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান। গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে। গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলল। এতে কিছুটা স্বস্তি নেমে এলেও একইসঙ্গে বজ্রপাতে ৩ জেলায় ৭ জনের প্রাণ গেছে।৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শেষে শনিবার (১৮ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। মৃতদের মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন নরসিংদীতে। এছাড়া, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুইজন ও গাজীপুরে এক নারীর ‍মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নরসিংদী জেলায় আলাদা স্থানে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।শনিবার সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং হাজীপুরে বজ্রপাতে ওই চারজনের মৃত্যু হয়।নিহতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং ধান কাটা শ্রমিক করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।আহত কামাল মিয়া জানান, স্ত্রী, সন্তান ও একজন শ্রমিক নিয়ে সকাল থেকে মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় এবং হঠাৎ বজ্রপাত হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় বজ্রপাতে মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই কৃষি জমিতে ধান কাটার জন্য অবস্থান করছিলেন। এসময় বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল সেখানেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকানোর সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ফাতেমা নামের এক নারীর। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, সকালে ফাতেমা বাড়ির পাশে ধান শুকানোর জন্য বসেছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলে ঝলসে যান। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এছাড়াও টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ধান কাটতে গিয়ে নিহত হয়েছেন দুই ভাই আমির হোসেন ও আফজার হোসেন।

লংগদুতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

রাঙামাটির লংগদুতে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসীত বিকাশ নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপকে দায়ী করছে। শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের মনপতি বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সদস্যের তিনক চাকমা (৫০) ও দুদকছড়া গ্রামের জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধন্যমতি চাকমা (৪০)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে লংগদু ইউনিয়নের মনপতি, ধনপতি, মধ্য খাড়িকাটা ও খাড়িকাটা এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান নেয়। লংগদু উপজেলার কাট্টলী এলাকায় ১০-১২ জনের একটি দল মনপতি ও মধ্যখাড়িকাটা এলাকায় এসে ইউপিডিএফের সদস্যের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। রাঙামাটির সহকারী পুলিশ সুপার (বাঘাইছড়ি-লংগদু) সার্কেল আবদুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকাটি অনেক দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ বিবৃতি দিয়েছে। ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তারা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসের কোনো কার্যক্রম নেই। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কন্দোলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।

চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ঢাকা: চলতি বছর সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. আসাদুজ্জামান (৫৭)। পাসপোর্ট নম্বর- এ১৩৫৬১০৪৩৪। মদিনায় তার মৃত্যু হয় বলে শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত (১৭ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র সংখ্যা ১ হাজার ৫১৩টি। সর্বমোট ইস্যু করা ভিসা ৮১ হাজার ১টি; সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা ৯২ শতাংশ; বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা ৯৫ শতাংশ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে। শেষ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন। শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
রাজনীতি

আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন : রিজভী

আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝনঝন করে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৬ মে) প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল ও সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির ফরমায়েশি সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদ। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বারবার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা, জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণখেলাপি মানুষ, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোকজন আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু। “যারা বাজার সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করেছে, যারা ব্যাংকের টাকা লুট করে, নিয়মবির্হিভুতভাবে ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অন্য জায়গাজমি দখল করে এদের তো জনগণ পছন্দ করে না। আর এই লোকগুলোই যদি আওয়ামী লীগের পাশে থাকে, প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকে, সরকারের পাশে থাকে তাহলে তো জনগণ থাকবে না। আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝনঝন করে কথা বলছে।” তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়া কান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল সাহেবের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভীরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, এমন আওয়াজ তিনি মাঝে মধ্যে দেন। আরো অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এই কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনকে না দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নিষেধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কিন্তু একজনও কথা শুনেনি। সবাই দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রীরই ২০-২৫ জন আত্মীয়-স্বজন উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন? ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার দল যে শূন্য টিনের বাক্স হয়ে গেছে, সেটা আগে ভরুন, তারপর বিএনপির কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল হয়েছে না সবল আছে এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। আপনার আওয়ামী লীগ ভাঙ্গা কলসি। তাই আপনাদের আওয়াজ বেশি হচ্ছে। হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

জাতীয়

ডিবিতে মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান। গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে। গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

Advertisement Image
রাজনীতি

ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি: কাদের

ঢাকা: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল? শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন৷ ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দিই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। তিনি বলেন, কারা পালায় আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি পালায়, তাদের নেতা রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছেন, দেশে ফেরার সাহস নেই। বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে। এই রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন সফল হয় না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না। বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে? এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটির কারো কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতো না। যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক: ওবায়দুল কাদের

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
সারাদেশ

কুমিল্লায় বাস উল্টে নিহত ৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে নিচে খাদে পড়ে গেছে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচ যাত্রী নিহত এবং ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার এসআই নজরুল ইসলাম।নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে বদরুল হাসান রিয়াদ (২৬)।দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে ফিরোজ (৪০), একই এলাকার আলী আহমেদের ছেলে মোক্তার হোসেন (৪০), ফজলুর রহমান (৪২), আরাফাত (৩৪), সিয়াম (৩২), সোহাগ (২৮), কামরুন নাহার (২৫), স্বপন শিকদার (২৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), মনির (৩০)। তার মধ্যে চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

আমার এলাকার খবর
Advertisement Image
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলগামী অস্ত্রবাহী জাহাজকে বন্দরে ভিড়তে দিলো না স্পেন

অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি মালবাহী কার্গো জাহাজ যাত্রাবিরতি দেওয়ার জন্য স্পেনের বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি চাইলেও তা দেয়নি দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যখনই নিশ্চিত হলাম যে ইসরায়েলগামী জাহাজটিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে, তখনই সেটিকে বন্দরে ভেড়ার জন্য অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। স্পেন-ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটল।’ ‘স্পেন বিশ্বাস করে, মধ্যপ্রাচ্যের আর অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন, সেখানে এখন প্রয়োজন শান্তির। তাই সম্প্রতি যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলগামী কোনো অস্ত্রবাহী জাহাজ আর কোনোদিন স্পেনের কোনো বন্দরে নোঙ্গর করতে পারবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে এ ইস্যুতে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ফ্রান্সের দৈনিক এল প্যারিস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডেনমার্কের পতাকাবাহী সেই কার্গো জাহাজটি ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যের চেন্নাই বন্দর থেকে অস্ত্র-গোলাবরুদের চালান নিয়ে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে বিরতি দেওয়ার জন্য স্পেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বন্দর কার্তেজেনায় নোঙ্গর করার অনুমতি চেয়েছিল জাহাজটি। জাহাজটিতে ২৭ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। প্রসঙ্গত, ইউরোপের যে কয়েকটি রাষ্ট্র গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, তাদের মধ্যে স্পেন অন্যতম। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে স্পেন। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিও স্থগিত করেছে স্পেনের সরকার। সূত্র : এএফপি

মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, ১১ মুসল্লি নিহত

Advertisement Image
Advertisement Image
Advertisement Image
অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার (১৫ মে) ইআরএফ কার্যালয়ে 'সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন,তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আমাদের বলেছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের এই কাজটি শক্ত হাতে করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই একটি অংশ হচ্ছে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে না দেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ৮ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে এতে কি চোরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হয়েছে। এই যে ৭-৮ টা ব্যাংকের মালিক একটা গ্রুপ এদের বিরুদ্ধে কথা বলাও কঠিন। তারা সম্প্রতি আরেকটা ব্যাংক নিয়ে নিছে। তাদের পত্রিকা আছে, টেলিভিশন আছে, অনলাইনও আছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আপনাদের অধিকার আদায়ে আর বসে থাকার সময় নেই। আপনাদের রাস্তায় নামতে হবে। ইআরএফ একটি সম্মানিত সংগঠন। আপনাদের এই আন্দোলনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে আমি আপনাদের সংঙ্গে আছি। আপনাদের এই আন্দোলন আরো বেগবান করুন। সাংবাদিকদের রিপোর্টগুলো সরকারকে সাহায্য করে। তাই এই আন্দোলন আরো জোরেসোরে চালান। দাবি আদায় করেই ছাড়ব। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, গভর্নর স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, উনি বলেছেন আসা যাওয়া করতে থাকো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও এখনো আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক ভাইয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না। আগে সাংবাদিকরা যেভাবে সহজে যেকোনো অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন তা এখন পারছেন না। তিনি বলেন, গভর্নর আমাদের বলেছেন দেশ প্রেমিক হওয়ার জন্য। আমরা তো উন্মাদ দেশ প্রেমিক। আমাদের থেকে দেশ প্রেমিক লোক আর দেখছি না। আমাদের সহকর্মীরা বলছেন যে তাদের ফোন ট্র‍্যাকিং করা হচ্ছে। যা খুবই ভয়ানক ব্যাপার। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে হবে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান গভর্নর আসার পর থেকেই সাংবাদিক প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর হতে শুরু করে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন যে আপনারা এলে গভর্নর স্যার আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেন এবং বলতে থাকেন যে ২৫ বছর হলে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দিবেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক প্রবেশে কঠোর হতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরো বলা হয়, অর্থনীতির বর্তমান যে, চড়া মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ তলানীতে নেমে যাওয়া, আর ডলারের বিপরীতে টাকার যে অবমূল্যায়ন হচ্ছে এই অবস্থার পেছনে কিন্তু কোনোভাবেই সাংবাদিকরা দায়ী না। আর ব্যাংকের দাবি সাংবাদিকরা সেনসেটিভ ইনফরমেশন পাবলিক করে দিচ্ছে। আমরা সাংবাদিকরা তো দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কাজ করছি। যেসব দুর্নীতি হচ্ছে সেগুলো আমরা জনসাধারণের মাঝে জানাচ্ছি। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান, আর নাগরিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই দ্রুতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এই ইস্যুটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টারদের জন্য না। এটি সবার জন্য। ব্যাংকে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এটির যদি সফলতা পেয়ে যায় তাহলে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করবে। আর এই হুমকি আমাদের আগামীর ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক। টাকা ছাপিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ানো হচ্ছে। সরকার যদি মনে করে যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সরকার অনেক কিছু আড়াল করে ভালো থাকবেন তাহলে এটা ভুল। বরং সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করে দিলে অর্থনীতি আরো ভালো থাকবে। দুর্নীতিগুলো সামনে আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই সরকারের ভালোর জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই স্বাধীনতাকে কূলষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গভর্নর সাহেবকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে অতিদ্রুত। মুখপাত্রের কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে। যেই সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সেই সংবাদের তো কোন প্রতিবাদ দেখা যায়নি। বরং পরবর্তীতে দেখা গেছে সেসব ব্যাংকের করুণ পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে জনগণ তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন একজন গভর্নরকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে তার তিনি যোগ্য নন। তার যেই দুর্বলতা আছে সেটি ঢাকার জন্যই তিনি সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই গভর্নরের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সূচকেই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়া ডলারের দাম একলাফে সাত টাকা বাড়িয়ে দিলেন কীসের ভিত্তিতে? কিছু পীর আওলিয়া দরবেশের সুবিধা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে আমি ধারণা করি। তারা দরজায় খিল দিয়েছে কিন্তু দরজা বন্ধ করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দরজায় খিল দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বলে মনে করলে ভুল করবে। দুদকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যদি সফল হয়ে তাহলে কেপিআই প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে সেগুলোতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় সফল হবে। আমরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটে অবস্থান নিব। গভর্নরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিব না। আমাদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ব। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই যে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা এটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টার বা অর্থনীতির রিপোর্টারদের সম্মান না, এটি পুরো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক দুর্নীতির ফাইল জমা হয়ে আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে তারা নিজেরাই আমাদের কাছে চলে আসবে। ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে আমাদের যেসব তথ্য দেয়া এখন আর সেগুলো হয় না। ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে। এই যে প্রতিনিয়ত পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে রিপোর্টগুলো হচ্ছে এসব করে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এমন করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ বলেন, সাংবাদিক যদি বাংলাদেশে থাকে তথ্য তাকে দিতেই হবে। যখনি তথ্য দিবে না তখনি লুকোচুরির বিষয় থাকবে আমরা ধরে নেব। গভর্নর তো কিছুদিনের জন্য। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে৷ যুগে যুগে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সাংবাদিকরা কোনো ব্যক্তির জন্য কাজ করে না, তারা পুরো দেশের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি নেব। আমরা প্রয়োজনে প্রেস ক্লাবে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেব। বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ভল্টের সোনা চুরি এসবের খবর যেন জনগণের সামনে না আসে এজন্যই নিষেধাজ্ঞা। অতীতেও আমরা পেরেছি এবারও আমরা পারব। যখন আমরা সকল মত-পথের সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে হয়েছি সেহেতু আমরা পারবই। যে তথ্য নিয়ে জনগণের জন্য সংবাদ করা হয় তা কখনো তথ্য চুরি হতে পারে না। শুধুমাত্র আর্থিক খাতেই কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার যে জায়গা সেটিই সাংবাদিকরা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে আজ এই অবস্থা। গণমাধ্যম একটা চরম সংকটকালে আছে। আমরা কেউ রাজনৈতিক কারণে তা স্বীকার করি আর না করি। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিএফউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজ যে ব্যাংক রিপোর্টাররা সমস্যা পড়েছে এটা আরো সামনে গড়াবে। ধীরে ধীরে সাংবাদিকরা আরো সমস্যার সম্মুখীন হবেন। দলমতের বাইরে এসে পেশাদারিত্বের জায়গায় আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। প্রেস ক্লাবে আমাদের সকল সংগঠন সংঘবদ্ধ হয়ে আগাতে হবে। অতীতেও আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার আদায় করেছি। এই যে শেয়ারবাজার, ডলার বাজারে এসব অপকর্ম করা হয় এগুলো তো সেই কর্মকর্তারাই ঘটান। সাংবাদিকরা শুধু তা লিখে ধরেন।

ডলারের দাম বাড়ায় বাজারে সর্বনাশ ঘটবে

Advertisement Image
খেলাধুলা

ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ম্যাচেও হারের পর উঁকি দিচ্ছিল হোয়াইটওয়াশ। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিও হারে নারী ক্রিকেট দল। এতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাঁচটিতেই হেরে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল নিগার সুলতানার দল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে টাইগ্রেসরা। তাতে ২১ রানে জয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে সফরকারীরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার শেফালি ভার্মা। ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দায়ালান হেমালাথাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা। ২৫ বলে ৩৩ রান করে স্মৃতি মান্ধানা আউট হলে, হেমালাথাকে সঙ্গ দেন হারমানপ্রীত কৌর। ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন এই ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন হেমালাথাও। শেষ দিকে ৩ বলে ১ রান করে সাজেভান সাজানা আউট হলেও, রিচা ঘোষের ১৭ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া খান এবং নাহিদা আক্তার দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন সুলতানা খাতুন। ভারতের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকে টাইগ্রেস ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানে মধ্যে টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শরিফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিতু মনি। ৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১০৯ রানে ৩৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হন রিতু। আউট হবার আগে ৩৭ রান করেন তিনি। রিতুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রাবেয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শরিফা। তবে তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ২১ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফা। ভারতের পক্ষে রাধা যাদব নেন ৩টি উইকেট। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image
বিনোদন

মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে জনপ্রিয় শিল্পী প্রবীন

ভারতের তামিল ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় সুরকার প্রবীন কুমার আর নেই। মাত্র ২৮ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ শিল্পী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার প্রবীনের মৃত্যু হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুরকার প্রবীন কুমার। এরপর বুধবার (১ মে) বিকেলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীনের মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ তামিল ইন্ডাস্ট্রি। উদীয়মান এ সঙ্গীত শিল্পীর অকাল প্রয়াণে সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই। ঢাকাওয়াচ/টিআর

Advertisement Image