পাওয়া গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকা...
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী পাহাড়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে।সোমবার (২০ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাত এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। অন্তত একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সেনাবাহিনীর সব সম্পদ ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘অন্ধকার হয়ে গেছে এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাদা তৈরি হওয়ায় তল্লাশি অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।’এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনও উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিমান বিধ্বস্তের খবর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে ইরানকে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করা যায়।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি দেশটির সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসসহ (আইআরজিসি) আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।রোববার রাতে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টকে বহন করা দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সেনাবাহিনী সব সরঞ্জাম ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিন দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে পাঁচ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না।হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি ও এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন করে রাজধানীতে ফিরছিলেন তারা।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বনজঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে। এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। তবে কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুলাহিয়ান নিহত হয়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরানের এক কর্মকর্তা। রোববার (১৯ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় তিনি আজারবাইজান থেকে ইরানের তাবরিজ শহরে যাচ্ছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, “হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই চিন্তার।” ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন। যা উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে। দেশটির সরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পৌঁছেছে। তবে ওই অঞ্চল পুরোটি কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্য পুরো দেশজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।৬৩ বছর বয়সী রাইসি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহজুব জাওয়ারি বলেছেন, ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী রাইসিকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়। একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গতকাল শনিবার আজারবাইজানে যান ইব্রাহিম রাইসি। আজ রোববার সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা তার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। সূত্র: রয়টার্স
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার আছড়ে পড়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টিভিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সরকারি টিভি চ্যানেলটি। রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার কাছে এ ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্ট রাইসি গতকাল আজারবাইজানে গিয়েছিলেন। সেখানে আজারি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি ড্যাম উদ্বোধন করেন তিনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। যে হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়েছে সেটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এবং আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলি-হাসেম। তিনি ওই অঞ্চলে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রতিনিধি ছিলেন। জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য দুটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। যেগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে। দেশটির আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে যারা ছিলেন তারা জরুরি বার্তা পাঠাতে সমর্থ হয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। বর্তমানে ইরানের কাছে যেসব হেলিকপ্টার রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগের। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সাংবাদিক রেসুল সর্দার তেহরান থেকে বলেছেন, “হেলিকপ্টার, বিমান, ইরানে যেগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো বেশ পুরোনো। এ কারণে ইরানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।” সূত্র: আলজাজিরা
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই এক সঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাবো। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরবো। আবার পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরবো। তিনি বলেন, অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম প্রমুখ।
ঢাকা: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, মানুষ আজ শান্তিতে নেই। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। অতিষ্ঠ জনগণ আজ বিএনপিকে আস্থার স্থল মনে করে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দলকে আরও সুসংগঠিত করে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সঙ্গে জোন ভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জোন- ২ এর মতবিনিময় সভা হয়। সালাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে সরকার। তাই রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিকতা নেই। জনগণের কাছে নেই কোনো দায়বদ্ধতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই সংগঠনকে ইস্পাতের ন্যায় শক্তিশালী করতে হবে। তিনি দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে কারাগারে যাননি। রশি বেশি টাইট করলে যেমন ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাই এখন প্রয়োজন সম্মেলিতভাবে নির্ভয়ে রাজপথে নামা। বারবার মরার চেয়ে একবার মরা ভালো। তবু দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ভয়কে বিএনপি জয় করতে শিখেছে। বিএনপি এখন ভয় পায় না। ভয় পায় আওয়ামী লীগ। তাই আমাদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশও সরকার ভয় পায়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাইরে থাকলে আতঙ্কে থাকে। এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এরা জানে যেকোনো সময় এদের পতন হবে। তাই সর্বক্ষণ তারা ক্ষমতার হারানোর ভয়ে অস্থির থাকে। সভায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোন-২ এর সমন্বয়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, শামসুল হুদা কাজল ও নাদিয়া পাঠান পাপনসহ আরও অনেকে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী পাহাড়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে।সোমবার (২০ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাত এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। অন্তত একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সেনাবাহিনীর সব সম্পদ ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘অন্ধকার হয়ে গেছে এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাদা তৈরি হওয়ায় তল্লাশি অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।’এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনও উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিমান বিধ্বস্তের খবর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে ইরানকে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করা যায়।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা: স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।তবে এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার ওপরে গুনতে হবে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের অলঙ্কারের এত দাম আগে কখনো হয়নি। সোমবার (২০ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এদিকে স্বর্ণালঙ্কারের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলেও, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম এর থেকেও বেশি ছিল। দেশের ইতিহাসে এক ভরি স্বর্ণ সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়। সে সময় এক ভরি স্বর্ণালঙ্কারের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারিত হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা। স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি না হলেও, স্বর্ণের অলঙ্কারের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার কারণ মজুরি। আগে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হতো ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। কিন্তু এই নিয়ম পরিবর্তন করে গত ১৪ মে ভরি প্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এতেই নতুন দামে স্বর্ণের অলঙ্কারের ক্ষেত্রে ভরি প্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ৭ হাজার ১০৮ টাকা। অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হবে ন্যূনতম ৬ শতাংশ। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা গুনতে হবে। এত দামে এর আগে দেশের বাজারে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি হয়নি। রোববার (১৯ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৮৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরআগে গত (১৯ মে) সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৯৩ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তার আগে গত ১২ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৩৮ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।